প্রযুক্তি আলাপন

আগামীর পথে, প্রযুক্তির সাথে

প্রযুক্তি আলাপন

আগামীর পথে, প্রযুক্তির সাথে

প্রযুক্তি আলাপন

আগামীর পথে, প্রযুক্তির সাথে

প্রযুক্তি আলাপন

আগামীর পথে, প্রযুক্তির সাথে

প্রযুক্তি আলাপন

আগামীর পথে, প্রযুক্তির সাথে

যে কোন সিম দিয়ে ফ্রী ইন্টারনেট চালু করুন এখনি।



             বাইকে অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আবার আপনাদের কাছে নিয়ে আসলাম ফ্রী নেট। ফ্রী ইন্টারনেট এর জন্য তো অনেক টিপস দেখলেন। কিছু টিপস কাজে লাগে এবার কিছু টিপস কাজে লাগে না। কিন্তু এবার কাজে লাগবেই। আমি যে টিপসটা আপনাদের দিবো এর দিয়ে আপনারা খুব সহজে ফ্রী ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেন যে, কোন সিম থেকে তবে এর জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসারন করতে হবে। এই টিপস দিয়ে সুদু আপনি বাংলাদেশ না বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে ফ্রী ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবেন। অনেক বকবক করলেন, কিছু করার নাই। কোন কিছু বাবহারের আগে কিছু বিস্তারিত জানা দরকার। চালুন কাজের কথা বলি।

আপনাদের যা যা লাগবে :
  1. একটা পিসি।
  2. একটা সফটওয়্যার।
  3. একটা সিম।
  4. আপনার সিম অপেরেটর DNS।
আমি আপনাদের একটা সফটওয়্যার দিবো এই সফটওয়্যার দিয়ে আপনি যে কোন সিম ফ্রী ইন্টারনেট চালাতে পারবেন। প্রথমে সফটওয়ার টি নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড করুনঃ এখান থেকে

সফটওয়্যার টি ডাউনলোড হয়ে গেলে ইন্সটল করে ফেলেন। তারপর নিচের পিকচার এর মত আসলে Configure এ ক্লিক করুন।



আমি আপনাদের সুদু GP সিম এর বলব বাকি সিম এর Configure আপনারা নিজে নিজে করে নিবেন। এখন Address box এ ms10.your-freedom.de;119.30.37.10 দেন। আমি এবার বলছি এটা সুদু gp জন্য। অন্য সিম এ ms10.your-freedom.de;(এখনে আপনার DNS) ব্যাবহার করতে হবে। GP DSN 119.30.37.10 ব্যাবহার করা হয়েছে। Connection Mode DNS দিন। নিচের পিকচার এর মত Avoid Using DNS and DNS Mode: No Direct Conn..এ টিক দিন।



এখন উপরে Account Information ক্লিক করেন, তারপর Username : sarkarzone Password : sarkarzone.com দিন। কাজ শেষ হলে Save and Exit ক্লিক করুন।  আপনি আপনার নামেও অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন।





এখন নিচের মত পিকচার আসলে Ports এ ক্লিক করুন। তারপর  Web Proxy box এ টিক দিন। এখন আপনার কাজ শেষ।



Status মেনু তে যান এবং Start Connection এ ক্লিক করুন। বুজতে সমস্যা হলে এই সাইট এ দেখতে পারেন। এখনে ইংলিশ দিয়ে আসে।
Connection করার আগে আপনাকে সিম এ যে কোন package চালু করতে হবে।

 
 
 
 
 

ওয়েব সাইট তৈরী করার অতি প্রয়োজনীয় ৩০ টি টুলস



                নিচে আলোচিত ৩০টি প্রয়োজনীয় টুলস দ্বারা আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ওয়েব পেজ তৈরী করতে হয়, এর জন্য কি কি টুলস লাগবে, কোথায় সেগুলো পাবেন,কিভাবে আপলোড করতে হয়,ম্যানেজ করার টুলস,জনপ্রিয়তার মাপকাঠি এবং সার্চ ইন্জিনে কিভাবে নিবন্ধন করতে হয় ইত্যাদি।যারা ওয়েব পেজ নিয়ে কাজ করতে চান তাদের এটি কাজে আসবে আশা করি।

ওয়েব পেজ তৈরী করার টুলস

ড্রিমওয়িভার-ওয়েব সাইট প্যাকেজ তৈরী করার জন্য খুবই জনপ্রিয় ।
হটস্ক্রিপ্ট আপনার সাইটকে আকর্ষনীয় করার জন্য উম্মক্ত স্ক্রিপ্ট। (মুক্ত)
এইচটিএমএল কীট -ওয়েব পেজ কোডিং করার টুলস।
অটোরিপ্লেস-একাধিক ওয়েব পেজের টেক্সসমুহ সহজেই বদল করার জন্য। (মুক্ত)
ন্যামো ওয়েব এডিটর- ওয়েব সাইট তৈরী করার টুলস।
নোটপ্যাড++- নোটপ্যাড থেকে অধিকতর উন্নত সংস্করন। (মুক্ত)
সেরিফ ওয়েবপ্লাস-ওয়েব পেজ তৈরী করার সফটওয়্যার।

চিত্রলেখ (গ্রাফিকস) ডিজাইন টুলস

অ্যাডোবে ফটোশপ-জনপ্রিয় ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার।
কুলটেক্স-অনলাইন লোগো গ্রাফিকস তৈরী করার জন্য। (মুক্ত)
ইরফানভিউ- ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার। (মুক্ত)
পিক্সি-যেকোন রংয়ের এইচটিএমএল মান জানার জন্য।(মুক্ত)
সেরিফ ড্রপ্লাস-গ্রাফিকস এডিটিং সফটওয়্যার।

ওয়েব সাইট ব্যবস্হাপনা টুলস

কনট্রিবিউট-সহজেই সাইট এবং ব্লগ হালনাগাদ করার জন্য।
কফিকাপফ্রিএফটিপি-ওয়েব সাইট আপলোড এবং ব্যবস্হাপনা (মুক্ত)
ইমেল চেক-স্প্যামাররা আপনার ওয়েব সাইট ইমেল এড্রেস দেখতে পায কি না তা যাচাই করা (মুক্ত)
ফায়ারফক্স ওয়েব ডেভেলপার এক্টেনশন-ওয়েব সাইট প্রকাশনা বা তৈরী (মুক্ত)
ফাইলজিলা-ওয়েব সাইট ফাইলস আপলোড এবং ব্যবস্হাপনা (মুক্ত)
লিংক পপুলারিটি-আপনার ওয়েব সাইট সার্চ ইন্জিনের নিকট কতটা জনপ্রিয় তা যাচাই করার জন্য।(মুক্ত)
অ্যালেক্সা টুলবার-অ্যালেক্সা সাইট তথ্যের জন্য(মুক্ত)
লিংক্স ব্রাউজার-টেক্স ব্রাউজারে আপনার কেমন দেখাবে তা যাচাই করে দেখা(মুক্ত)
ডব্লিউথ্রিসি ভ্যালিদেটর-আপনার পেজের কোডিংয়ের মান যাচাই করা(মুক্ত)

ফ্লাশ এনিমেশন

ফ্লাশ প্রো(প্রিমিয়ার ফ্লাশ তৈরী করার সফটওয়্যার
সুইস ম্যাক্স-ফ্লাশ ফাইল তৈরী করার টুলস।
এফোরডেক্স-কাঠামো(টেম্পলেট) ব্যবহার করে সহজেই ফ্লাশ সাইট তৈরী করা।
ডিভআইও-ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে ভিডিও এভিআই তে নেওয়া।(মুক্ত)
কুলমুভস-সহজেই ফ্লাশ এনিমেশন তৈরী করা।
টারবাইন এনকোডার- সচল চিত্র(ভিডিও) কে স্টিমিং ফ্লাশে পরিবর্তন করা (মুক্ত)

অন্যান্য বিষয়

এমএসএন সাইটসার্চ-আপনার সাইটে সার্চ সবিধা যোগ করতে।(মুক্ত)
পিএইচপিবিবি-পিএইচপি-ভিত্তিক ফোরাম তৈরী করার জন্য।(মুক্ত)
এক্সপিএফ মিউজিক প্লেয়ার-সাইটে এমপিফ্রি ফাইল চালানো।(মুক্ত)


দেশের জনপ্রিয় সব টিউটোরিয়াল সাইট নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য



         এই শতাব্দীতে প্রযুক্তি ছাড়া কোনকিছু ভাবতে যাওয়া যেন অনেকটাই ঢাল-তলোয়ার ছাড়া নিধিরাম সর্দারের মতো! তাই এগুতে হলে যুদ্ধাস্ত্র সঙ্গে রাখা বাঞ্ছনীয়, সেক্ষেত্রে ওয়েব ডেভেলপিং সংশ্লিষ্ট কাজকেই অনেকে যুতসই সরঞ্জাম মনে করছেন, বিশেষত তরুণদের মাঝে আগ্রহ আশাব্যাঞ্জক। তবু কিছু কথা থেকে যায়! আপনি কিভাবে শিখবেন এইচটিএমএল থেকে শুরু করে অন্যান্য দরকারী ল্যাঙ্গুয়েজগুলো? কোথায় শিখবেন কিংবা কোনটা ভালো? এ সম্পর্কে তথ্য দিতেই আমার আজকের প্রচেষ্টা...
 
বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য বেশ কয়েকটি টিউটোরিয়াল ভিত্তিক সাইট আপনি পাবেন যা আপনাকে যথেষ্টই সাহায্য করবে। এখানে ভিডিওর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট বর্ননা এবং সরলোক্তি একজন শিক্ষানবীশের জন্য সহজবোধ্য। চলুন পরিচিত হই তেমন কিছু সাইটের সাথে

টিউটোরিয়াল বিডিঃ 

                মাহবুব হাসানের পরিচালনায় চলছে দারুন কিছু টিউটোরিয়াল দিয়ে সাজানো ‘টিউটোরিয়ালবিডি’। এখানে আপনি এইচটিএমএল এর বিস্তারিত টিউটোরিয়াল পাচ্ছেন নিয়মিত বিরতিতে। পাচ্ছেন সি++, জাভাস্ক্রিপ্ট, জে কোয়ারি সহ অন্যান্য কিছুরও দারুন সব টিউটোরিয়াল।
এখানে,
এইচটিএমএল নিয়ে রয়েছে ৪০ টি ভিডিও টিউটোরিয়াল
সি++ নিয়ে রয়েছে ৪৫ টি ভিডিও টিউটোরিয়াল
জাভাস্ক্রিপ্ট নিয়ে রয়েছে ২৪ টি ভিডিও টিউটোরিয়াল
জে কোয়ারি নিয়ে রয়েছে ১২ টি ভিডিও টিউটোরিয়াল
এছাড়াও সিএসএস, ওয়েব হোষ্ট ম্যানেজার, কম্পিউটার হার্ডওয়ার, ফ্ল্যাশ, ভিজুয়াল ব্যাসিক, থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর।
টিউটোরিয়ালবিডিতে রয়েছে এইচটিএমএল, সিএসএস এর উপর পরিপূর্ন ই-বুক। ওয়ার্ডপ্রেসের উপর প্রাথমিক সম্পাদিত ই-বুক। ঘুরে আসতে পারেন টিউটোরিয়াল বিডি থেকে।

টিউটোরিয়াল ফর মিঃ 

              
                   আমিনুল ইসলাম সজীবের পরিচালনায় চলছে আরেকটি টিউটোরিয়াল ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘টিউটোরিয়াল ফর মি’। তবে এখানে মূলত ভিডিও টিউটোরিয়ালের চেয়ে প্রাধান্য পায় সহজ ভাষায় কনটেন্ট টিউটোরিয়াল যেটা অনেকেরই উপকারে আসবে। থাকছে এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, জে কোয়ারি নিয়ে চমৎকার সব পোষ্ট।
রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এবং ওয়েব ডিজাইনিং এর আনুষঙ্গিক টিউটরিয়ালগুলোও। ঘুরে আসুন টিউটোরিয়াল ফর মি সাইট থেকে।

আরআর ফাউন্ডেশনঃ 

                    রাসেল আহমেদের আত্নিক প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলেছে ‘আরআর ফাউন্ডেশন’। এই সময়ে টিউটোরিয়াল নিয়ে চমৎকার সব পোষ্ট আর ভিডিও নির্দেশনায় নজর কেড়েছে সবার। সহজ ভাষায় কঠিন কঠিন বিষয়গুলো তুলে এনেছে সুন্দরভাবে। নিজের শুরুটা অনেক প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে হলেও অন্যদের যেন তেমন অবস্থায় পড়তে না হয় সেটা ভেবেই তিনি তৈরি করেছেন ছোট ছোট অসংখ্য ভিডিও টিউটোরিয়াল। সবচেয়ে আকর্ষক তার বলার ভঙ্গি যে কারনে অনেকেই চোখ রাখছেন তার সকল পোষ্ট এবং ভিডিওর দিকে।
আপনি এখানে যেসব টিউটোরিয়াল পাবেনঃ
*এইচটিএমএল
*সিএসএস
*সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক
*পিএইচডি টু এইচটিএমএল
*জাভাস্ক্রিপ্ট
*ওয়ার্ডপ্রেস
*অন্যান্য
এছাড়াও সিরিজ যেসব টিউটোরিয়াল পাবেনঃ
*বেসিক এইচটিএমএল
*বেসিক ওয়ার্ডপ্রেস
*এইচটিএমএল টু ওয়ার্ডপ্রেস
*ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট
*টুইটার বুটস্ট্র্যাপ
*পিএইচডি টু ইমেইল টেম্পলেট
আরআর ফাউন্ডেশন তাদের সমস্ত টিউটোরিয়াল ডিভিডি আকারে আগ্রহীদের জন্য দিচ্ছেন, আপনি ইচ্ছে করলে এটা কুরিয়ারেও নিতে পারেন। ঘুরে আসুন আরআর ফাউন্ডেশন থেকে।


প্রযুক্তি টিমঃ

                 হাসান যোবায়েরের তত্ত্বাবধায়নে চলছে টিউটোরিয়াল ভিত্তিক দারুন একটি সাইট ‘প্রযুক্তি টিম’। ওয়েব ডিজাইনে সাথে আছেন সাইফুল ইসলাম, আছেন আরিফুল ইসলাম শাওন।
তাদের তৈরি টিউটোরিয়ালগুলোও এখন বেশ জনপ্রিয়। আপনি খুব সহজেই শিখে নিতে পারেন এইসব টিউটোরিয়াল থেকে। এই সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে রয়েছে প্রায় ১১৩ টি চমৎকার এবং অনন্য সব টিউটোরিয়াল।
যেখানেঃ
ফটোশপ নিয়ে রয়েছে ৫২ টি চমৎকার ভিডিও টিউটোরিয়াল
ইলাস্ট্রেটর নিয়ে রয়েছে ১৭ টি ভিডিও টিউটোরিয়াল
বিজনেস কার্ড ডিজাইন নিয়ে ৪ টি টিউটোরিয়াল
লোগো ডিজাইন নিয়ে ৪ টি টিউটোরিয়াল
ওয়েব ডিজাইন নিয়ে ১০ টি টিউটোরিয়াল
সি# প্রোগ্রামিং নিয়ে ১০ টি টিউটোরিয়াল
সিএসএস নিয়ে ৪ টি টিউটোরিয়াল
পিএইচডি টু এইচটিএমএল নিয়ে ৬ টি টিউটোরিয়াল
এছাড়া বিভিন্ন প্রযুক্তি পন্যের রিভিউ, সফটওয়ার সম্পর্কাদি প্রয়োজনে দরকারে লাগবে এই সাইটটি। ঘুরে আসুন প্রযুক্তি টিম থেকে।

শিক্ষক ডট কমঃ 

                   ডাঃ রাগীব হাসানের তত্ত্বাবধায়নে বলতে গেলে অনলাইন শিক্ষায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে ‘শিক্ষক ডট কম’ । এখানে আপনি সরাসরি পড়তে পারছেন যেকোন প্রযুক্তি বিষয়ক অংশে কিংবা একাডেমিক বিষয়গুলোও। রাগীব হাসানের ভাষায়
‘এই সাইটে বাংলা ভাষায় নানা বিষয়ের উপরে অনলাইনে শিক্ষা দেয়া হবে। প্রতিটি কোর্স হবে মুক্ত, অর্থাৎ যে কেউ বিনামূল্যে এই কোর্সগুলোর সুবিধা নিতে পারবেন। প্রতিটি কোর্সে থাকবে লেকচার নোট এবং কোর্সের মূল্যায়ণের জন্য কুইজ।‘
এখানে আপনি ইচ্ছে করলেই শিখতে পারেন এইচটিএমএল, সিএসএস এর মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। পড়তে পারেন পরিবেশ বিজ্ঞান, কেমি কৌশল, জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়েও। অবাক হবেন যখন দেখবেন এখানে আপনার জন্য রয়েছে নিউরো সায়েন্স কিংবা ক্যান্সার ন্যানো টেকনোলজির মতো বিষয়ও। এক কথায় শিক্ষক ডট কমের প্রকৃতঅর্থেই আপনাকে শিক্ষা দিচ্ছে যেকন বিষয়ে। শুধুমাত্র মোবাইল কিংবা পিসিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি হতে পারেন তাদের একজন শিক্ষার্থী!


টাইপোগ্রাফির ১০ টি সাধারন বিষয় যা খেয়াল রাখতেই হবে।



গ্রাফিক দুনিয়ায় যারা প্রফেশনাল তারা যতখানি বলেন ঠিক ততখানিই বলেন নতুন যারা শুরু করছেন, আর যে বিষয়টি বলেন তা হল ডিজাইনকে সুন্দর করতে টাইপো্গ্রাফির গুরুত্ব অনেক। কারন আপনার ডিজাইনটি প্রথম দেখাতেই ক্লায়েন্টের পছন্দ হওয়ার পেছনে সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো টাইপোগ্রাফির অবদান অনেক। কি-বোর্ডে বোতাম টিপে আমরা সবাই টাইপ করতে জানি। টাইপকে বিভিন্নভাবে ফরমেট করাটাও জানি হয়তো। ফরমেট করা আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু নয়। আজ আলোচনা করব গ্রাফিক ডিজাইনে টাইপ করতে গিয়ে আমাদের মনের অজান্তেই যে ভূলগুলো হয়ে যায় সেগুলো নিয়ে। এই ভুলগুলো না হলে আমাদের ডিজাইনটিও হতে পারে অনেক সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন যা সহজেই চোখকে বেধেঁ রাখবে আপনার ডিজাইনটিতে। তো শুরু করি-

(১) প্রয়োজনমত Leading না দেওয়া:

              Leading বলতে আমরা বুঝি Line spacing. এমন ঘটনা অনেকবারাই ঘটে যখন আমরা কোন বড় আর্টিকেল পড়ি তখন এক লাইন পড়তে গিয়ে আরেক লাইনে চলে যাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই Leading এর সমস্যার কারনেই আমরা এই সমস্যায় পড়ি।সঠিকভাবে লাইন স্পেচিং সেট করলে আর্টিকেলটি দেখতে যেমন সুন্দর হয় তেমনি পড়তে অসুবিধা হয়না। খেয়াল রাখতে হবে বিভিন্ন ফন্ট এর উচ্চতা বিভিন্ন রকম হয়। সে অনুসারে আমাদের Leading ও কমবেশি করতে হবে আর্টিকেলটিকে সুন্দর করার জন্য।নিচের চিত্রটি দেখুন-



(২) পর্যাপ্ত পরিমান Tracking না দেওয়া:

                Tracking বলতে আমরা বুঝি Letter spacing. কোন একটি শব্দের মধ্যে যে লেটারগুলো থাকে সেগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক দুরত্ব যদি ঠিকমত সেট করা না হয় সেক্ষেত্রে আমরা ডিজাইনটি যখন প্রিন্ট করব তখন একটি Letter এর সাথে আরেকটি Letter কে এক হয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন পড়তে অসুবিধা হয়। তাই Tracking এর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। নিচের চিত্রটি দেখুন-



(৩) Tracking এবং Kerning েএক করে ফেলা:

                 Tracking এর সম্পর্কে উপরে জেনেছি। আর Kerning হলো যে কোন দুটি Letter এর মধ্যকার দুরত্ব। এমন হলো একটি শব্দের Tracking ঠিক করলাম এরপর কোন কারনে Kerning সেট করতে গিয়ে এমন করে ফেললাম যে একটি প্রথম ৪টি অক্ষরের মধ্যকার দুরত্ব একরকম আর বাকি দুটির মধ্যকার দুরত্ব আরেকরকম। এমনটি করা হলে ডিজাইনটি অসুন্দর হয়। এর প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। নিচের চিত্রটি দেখুন-



(৪) বাক্যকে অনেক লম্বা করে ফেলা:

             একটি বাক্যে যদি অনেক শব্দ থাকে তাহলে েপাঠক এর অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে অনেক জটিলতায় পড়তে হয়। এক্ষেত্রে পাঠক বিরক্ত হয় এবং আপনার লেখা থেকে দুরে সরে যায়। এটির প্রতি তার আর কোন আকর্ষন থাকেনা। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এটা বলা হয়ে থাকে যে কোন বাক্যে ৫০-৬০ টি অক্ষরের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। চিত্রটি দেখুন-



(৫) খুব বেশিসংখ্যক ফন্ট এবং খুব বেশি ফরমেটিং প্রয়োগ:

                 যে কোন একটি পৃষ্ঠায় অথবা একটি প্রজেক্টে অনেকগুলো ফন্টের ব্যবহার পাঠককে বিব্রত করে ফেলে। সেজন্য একটি প্রজেক্টে ২-৩ টি ফন্ট ব্যবহার করুন। আর অনর্থক ফন্টের ওয়েট তথা বোল্ড/আন্ডারলাইন প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে পাঠক কোনটি কম গুরুত্বপূর্ন, কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ন বুঝতে অসুবিধায় পড়েন। এর কারনে হয়তো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন বিষয়টিও পাঠকের মনোযোগ থেকে বাধ পড়ে যেতে পারে। নিচের চিত্রটি দেখুন-



(৬) লম্বা প্রজেক্টে Serif font ব্যবহার না করা:

                    আমরা সবাই জানি বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকা এরকম লম্বা প্রজেক্টের জন্য Serif font সবচেয়ে উপযোগী। কারন এই ফন্টের বেইস লাইন একসমান থাকার কারনে লম্বা আর্টিকেল পড়তে পাঠকের অনেক সুবিধা হয়। তাই লম্বা আর্টিকেলে এই ফন্ট ব্যবহারের প্রতি নজর দিতে হবে।এই ফন্টের ছবি দেখুন, বুঝবেন-



(৭) একই মানের কালার অবজেক্ট এবং টেক্সট হিসেবে একটিকে অপরটির উপর ব্যবহার করা:

                ধরুন একটি অবজেক্ট এর উপর আপনি একটি কালার প্রয়োগ করলেন। সেই অবজেক্ট এর উপর আপনি লিখলেন কাছাকাছি মানের অন্য একটি কালার দিয়ে। অবজেক্ট এর উপর টেক্সটটিকে এনে দেখুন কেমন দেখায়। এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। চিত্রটি দেখুন-



(৮) কোন লেখাকে কেন্দ্রে এলাইন করলে সৃষ্ট সমস্যা:

              কোন একটি লেখাকে যখন আমরা কেন্দ্রে এলাইন করে লিখি তখন এটি প্রায় সময়ই দেখতে অসুন্দর দেখায়। কারন কেন্দ্রে লিখার পর এটি এলোমেলো দেখায়। যার ফলে এটি দেখতে অসুন্দর দেখায়। আপনি ফন্টটি হয়তো খুব ভালো সিলেক্ট করেছেন কিন্তু এডজাস্টমেন্ট, কালার সেটিংস এর কারনে এটি সুন্দর হয়না। এ বিষয়টি নজর দিতে হবে।প্রয়োজনে ট্র্যাকিং ও কার্নিং এডজাস্ট করে লেখাগুলোকে সুন্দর করুন। চিত্রটি দেখুন-



(৯) কোন আর্টিকেলের বডি ফন্ট সাইজ:

                ডিজাইনার, নন-ডিজাইনাররা প্রত্যেকেই সাধারনত বডি টেক্সেট এর জন্য ফন্টের ১২ সাইজটি ব্যবহার করে থাকেন। ফন্টভেদে এটি কিছুটা ছোট বড় হতে পারে। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বডি টেক্সট এ িবেশি বড় সাইজ ভালো দেখায়না। তবে এটা খেয়াল রাখতে হবে মনিটরে লেখাকে আমরা যতটুকু দেখি প্রিন্ট করার পর আরেকটু বড় মনে হবে।আবার প্রিন্টার নির্দেশনা িএরকম যে ফন্ট সাইজ যেন ৭ এর কম না হয়। ৭ এর কম হলে আবার পড়তে সমস্যা হতে পারে।চিত্রটি দেখুন-



(১০) গ্রিড সিস্টেম সম্পর্কে না জানা:

                 আপনি যখন কোন লে-আ্উট ডিজাইন করেন (যেমনঃ পোষ্টার, ব্রশউর, ম্যাগাজিন কভার, বুক কভার, বিজনেস কার্ড , নিউজ লেটার প্রভৃতি) তখন অবশ্যই কোন গ্রিড নিয়ে কাজ করছেন তা খেয়াল রাখবেন এবং ঐ গ্রিড সিস্টেমটা বুঝবেন। এতে করে আপনার টাইপোগ্রাফি প্রয়োগ আরও কার্যকর হবে এবং আরো দৃষ্টিনন্দন হবে।
উপরের যে তালিকা নিয়ে আলোচনা করলাম আপনাকে সবকিছু মানতে হবে এমন কিন্তু নয়। ডিজাইনের টাইপোগ্রাফি সুন্দর করার জন্য এগুলো ফলো করবেন। আবার আপনার দৃষ্টিতে যদি কোন কমান্ড ডিজাইনকে সুন্দর করে তা প্রয়োগ করতে ভুলবেননা। কারন ডিজাইনতো এটাই। নিয়মমাফিক চলবেন আবার নিজেই নিয়ম ভেঙ্গে নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করবেন। আশা রাখি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।


 

ডিজাইনে ফটোশপঃ ফটোশপে দ্রুত কাজ করতে কী-বোর্ড কমান্ড জানা লাগে



মরা যারা গ্রাফিক ডিজাইনে কাজ করে থাকি তাদের সকলের জন্য এডবি ফটোশপ ব্যবহার কমন একটা বিষয়। কারন আমরা জানি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার হলো এডবি ফটোশপ। ডিজাইন করা যদিও ধীরস্থির একটি প্রক্রিয়া। তবুও যদি আমাদের সবার এডবি ফটোশপের কী-বোর্ড কমান্ডগুলো জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই আমরা কাজে গতিশীলতা আনতে পারি। অনেকেই হয়ত কী-বোর্ড  কমান্ডগুলো জানেন। যারা জানেননা অথবা ফটোশপ শিখতে শুরু করেছেন তাদের জন্য আজকের এই লেখা।
আজকের লেখার বিষয়বস্তু কি? তা আবার একটু দেখে নেই-

“ফটোশপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন কিছু কী-বোর্ড কমান্ড”

১) সিলেকশানকে ড্র্যাগ করাঃ

কীবোর্ড থেকে M press করে আমরা যখন Marquee tool সিলেক্ট করে ক্যানভাসের কোন কিছু ড্র্যাগ করে সিলেক্ট করি তখন অনেক সময় দেখা যায় আমরা কাঙ্খিত ইমেজটির Edge (কিনারা) এর সাথে আমাদের সিলেকশানকে এডজাস্ট করতে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে  Marquee tool সিলেক্ট করে ড্র্যাগ করার সময় মাউস না ছেড়ে কী-বোর্ড থেকে Space bar চেপে ধরে আমাদের কাঙ্খিত ইমেজটির কিনারা মিলিয়ে নিয়ে আমাদের সিলেকশানটি সঠিকভাবে করতে পারি। নিচের চিত্রটি দেখুন-

২) ক্যানভাসকে ডানে / বামে সরানোঃ

অনেক সময় আমাদের করা ডিজাইনটির সাইজ যদি অনেক বড় হয়ে যায় তাহলে বামপাশের টুলবক্স ও ডানপাশের প্যানেলগুলোর জন্য ডিজাইনটির দেখতে সমস্যা হয়। আমরা ইচ্ছে করলে টুলবক্স ও প্যানেলসমুহ অদৃশ্য করে পুরো ডিজাইনটি দেখতে পারি অথবা Hand tool ব্যবহার করেও ডিজাইনটি দেখতে পারি। কিন্তু সবকিছু ক্যানভাসে রেখেই আমরা ডিজাইনি দেখতে পারি। কিভাবে? কী-বোর্ড থেকে Ctrl (Cmd in mac pc) key চেপে ধরে আপনার মাউসের হুইলটি উপরে/নিচে ঘুরান। দেখবেন আপনার ডিজাইনটি ডানে/বামে মুভ করছে। নিচের চিত্রটি দেখুন-

৩) ডিজাইনে থেকেই ফন্টলিস্ট ব্রাউজ করাঃ

ডিজাইনের যে টেক্সট এর ফন্ট পরিবর্তন করার খেয়াল করেছেন অথচ সঠিকভাবে ঠিক করতে পারছেননা কোন ফন্ট ব্যবহার করবেন। তো এক কাজ করুন, যে টেক্সট এর ফন্ট পরিবর্তন করবেন লেয়ার প্যানেলের ঐ টেক্সট লেয়ারের থাম্বনিলে ডাবল ক্লিক করে ক্যানভাসের উপরের কন্ট্রোল বারে ফন্টসমুহের নামের যে ঘর রয়েছে সেখানে কার্সরটি সেট করুন। দেখবেন নামটি সিলেক্ট হয়েছে। এরপর কী-বোর্ড থেকে আপ/ডাউন এরো কী চাপুন দেখুন ফন্ট পরিবর্তন হচ্ছে। আপনার পছন্দের ফন্টটি সিলেক্ট করার জন্য এন্টার চাপুন। নিচের চিত্রটি দেখুন-

৪) ফন্ট সাইজ বাড়ানো ও কমানোঃ

ফটোশপের টেক্সট লেয়ার থাম্বনিলে ডাবল ক্লিক করে টেক্সট সিলেক্ট করুন। অথবা কোন বাক্যের নির্দিষ্ট কোন শব্দ/অক্ষর সিলেক্ট করুন। এরপর ফন্টের সাইজ ১ পয়েন্ট বড় করতে চাইলে চাপুন Ctrl + Shift + > আর ফন্টোর সাইজ ১ পয়েন্ট করে কমাতে চাইলে চাপুন Ctrl + Shift + < চাপুন।

৫) মাউসের হুইল স্ক্রল করে জুম ইন/আউট করা:

ফটোশপে ক্যানভাসকে জুম করার অনেকগুলো উপায় আমরা জানি। যেমনঃ Ctrl + (+) চেপে জুম ইন, Ctrl + (-) চেপে জুম আউট, Ctrl + 1 চেপে ১০০%, Ctrl + 0 চেপে অথবা Hand tool এ ডাবল ক্লিক করে Fit image in the window করতে পারি। এছাড়াও যে কমান্ডটি আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা তাহলো Ctrl+Alt key চেপে ধরে মাউসের হুইল ঘুরান, দেখবেন ইমেজটি জুম ইন/আউট হচ্ছে। চিত্রটি দেখুন-

৬) বিভিন্ন ডায়ালগ প্যালেটের নিউমেরিক মান পরিবর্তন করতে ড্র্যাগ পদ্ধতিঃ

ফটোশপে যখন আমরা কাজ করি বিভিন্ন প্যানেলের মধ্যে মান/ভ্যালু পরিবর্তন করার একটি বিষয় থাকেই। আমরা হয়ত ম্যানুয়্যালি তা পরিবর্তন করে থাকি। আবার প্যালেট সিলেক্ট করেও মান পরিবর্তন করা যায়। অন্য একটি পদ্ধতি দেখুন ভ্যালূ ইনফুট বক্সের উপর কার্সর নিয়ে Ctrl key চেপে ধরে ডানে বামে ড্র্যাগ করুন, দেখুন মান বাড়ছে/কমছে। আবার Ctrl + Shift key চেপে ধরে কার্সর ডানে/বামে ড্র্যাগ করুন দেখবেন মান ১০ পয়েন্ট করে বাড়ছে/কমছে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় সব প্যালেটেই কাজ করে। নিচের চিত্রটি দেখুন-

এছাড়া প্যালেটে ভ্যালূ ইনফুট বক্সে কার্সর সেট করুন ডাবল ক্লিক করে যাতে মানটা সিলেক্ট হয়। এরপর মাউসের হুইল উপর/নীচ ঘুরান। দেখবেন মান পরিবর্তন হচ্ছে।

৭) লেয়ার প্যানেলের কী-বোর্ড কমান্ডঃ

ধরুন আপনার ডিজাইনটিতে অনেকগুলো লেয়ার আছে। সবচেয়ে উপরের লেয়ারটিকে সিলেক্ট করতে চাপুন Alt + (.) কারেন্ট লেয়ার ও উপরের লেয়ারসহ এর মধ্যবর্তী সব লেয়ার একসাথে সিলেক্ট করতে চাপুন Alt + Shift + (.), সবচেয়ে নিচের লেয়ারটিকে সিলেক্ট করতে চাপুন Alt + (,) কারেন্ট লেয়ার ও সবচেয়ে নিচের লেয়ারসহ এর মধ্যবর্তী সব লেয়ার একসাথে সিলেক্ট করতে চাপুন Alt + Shift + (,) কোন লেয়ারের উপরের লেয়ারটি সিলেক্ট করতে চাপুন Alt + ], কোন লেয়ারের নিচেরটি সিলেক্ট করতে চাপুন Alt + [, আর লেয়ারের অর্ডার পরিবর্তন করতে Ctrl + ] (উপরের দিকে) Ctrl + [ (নিচের দিকে)।


ফটোশপ ব্যবহারের ১০ টি বদঅভ্যাস যা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হওয়া উচিত নয়



মি শুরু করেছিলাম সেই ফটো্শপ ৭.০ থেকে যা আজো এদেশের অনেক পেশাদার ডিজাইনারগন ব্যবহার করে যাচ্ছেন বিরতিহীনভাবে। সময়ের পথপরিক্রমায় ফটোশপ ৮.০ (সিএস) আসল, এরপর একে একে সিএস২, ৩, ৪, ৫, ৬ রিলিজ হলো। সর্বশেষ ফটোশপ সিসি (১৪) রিলিজ হলো। তবে ডিজাইনারগন যে ভার্সনে নিজেকে নিজে দক্ষ মনে করেন সেই ভার্সনটিই ব্যবহার করে থাকেন। এসব অবশ্য আজকের আলোচনার বিষয় নয়।
আমরা যারা ডিজাইনার এবং ফটোশপ ব্যবহার করি তাদের একেকজনার কাজের ধারা একেক রকম। একই কাজ একেকজন ডিজাইনার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে করে থাকেন। আর এভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা এমন কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকি যেগুলোকে ফটোশপে বদঅভ্যাস বলা যেতে পারে। এভাবে কাজগুলো না করলে আমাদের কাজ হয় অনেক নিখুঁত, অনেক দ্রুতগতির সর্বপরি ডিজানটা হবে অনেক সমৃদ্ধ। আজকের আলোচনার বিষয় হলো এরকম ১০টি বদঅভ্যাস যেগুলো ডিজাইনার হিসেবে এখনি আমাদের ত্যাগ করা উচিত।
এখন এক এক করে আমরা দেখে নেব কোন ১০টি অভ্যাস আমাদের এখনি ত্যাগ করতে হবে এবং কোন কোন উপায়গুলো আমাদের খুজে নিতে হবে ডিজাইনার হিসেবে পেশাদারিত্ব আনতে।

১) সিঙ্গেল লেয়ার নিয়ে কাজ করাঃ

বিখ্যাত ডিজাইনারগন সবসময়ই বলে থাকেন “এটা খুবই ভালো একটি অভ্যাস নতুন নতুন লেয়ার নিয়ে সবসময় সবধরনের ইমেজ এডজাস্টমেন্ট  কর ” আমরা জানি ফটোশপে লেয়ার ভাসমান থাকে। লেয়ারকে উপর/নীচ করে ডিজাইনকে চমৎকারভাবে সাজানো যায়। এছাড়া ফটোশপে ইমেজকে বেশীরভাগ সময়ই এডজাস্ট করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজে কাজ না করে যেসকল কমান্ড নতুন এডজাস্টমেন্ট লেয়ার তৈরি করে সেগুলো ব্যবহার করুন। একটি উদাহরন দেই-মনে করেন কোন লেয়ারের Contrast, Brightness, Level পরিবর্তন করবেন। আমরা Image>Adjustment এ গিয়ে কাজ করতে পারি, ফটোশপের যে ৩টি Auto command রয়েছে সেগুলোও প্রয়োগ করতে পারি। কিন্তু তা না করে যদি আমরা Layer panel এ Create new fill or adjustment layer এ কাজগুলো করি তবে সেগুলো অনেক ভালো হয় কারন এই এডজাস্টমেন্ট প্রয়োজনে যে কোন সময় সংশোধন করা যায়। মোট কথা যেকোন ইমেজ এডজাস্টমেন্ট করার সময় নতুন লেয়ারে কাজ করার অভ্যাস করতে হবে। নিচের চিত্রটি দেখুন-

২) চাকা বল সাবান দিয়ে ধোলাই না করে মুখোশ পরানোর অভ্যাস করুনঃ

Eraser দিয়ে আমরা কোন কিছু মুছে ফেলি, Delete করা মানে একেবারেই বাদ একদম চাকা বল সাবান। এসব না করে Mask command ব্যবহার করা শিখুন। কোন কিছু মোছা, ডিলিট করা, মাস্ক করা তিনটি ক্ষেত্রেই সিলেকশান কমান্ড দিতে হয়। মুছে ফেললে এবং ডিলিট করলে ইমেজের ঐ অংশটি একেবারেই শেষ, তা না করে মাস্কিং করে ঐ অংশটিকে Hidden করে দিন। যদি প্রয়োজন হয় তখন আপনি মাস্কিং disable করে আবার সে অংশটুকু ফেরত পেতে পারেন। ফটোশপে তিন ধরনের মাস্কিং েরয়েছে Pixel mask, Vector mask, Clipping mask. পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি যে কোনটি ব্যবহার করতে পারেন।নিচের চিত্রটি দেখুন-

৩) মাউস দিয়ে ক্লিক ক্লিক না করে কী-বোর্ড দিয়ে কমান্ড দেওয়া শিখতে হবেঃ

ফটোশপের শত শত কমান্ড আছে। আপনি যদি প্রতিটি কমান্ড দিতে গিয়ে মেনুতে যান আর ক্লিক ক্লিক করেন তবে আপনার ডিজাইনার লাইফ হাফ মার্ডার। আর এ কাজটি সময় শেষ করে দেবে ধরে নিন। প্রফেশনাল ডিজাইনারগন মাউস দিয়ে খুব বেশি কমান্ড দেননা। তারা কী-বোর্ড দিয়ে কমান্ড দিয়ে থাকেন। আপনিও সেরকম হতে হবে। তাই কী-বোর্ড কমান্ড শিখুন। হয়ে যান প্রফেশনাল।ফটোশপের কী-বোর্ড কমান্ড লিস্ট অনেকের ্কাছেই আছে। তাই আপনাদের জন্য অল্প কয়েকটি কী-বোর্ড কমান্ড এখানে দিলাম। দেখে নিন-
  • Cmd/Ctrl + T – Free Transform
  • Cmd/Ctrl + Enter – Accept typing
  • Cmd/Ctrl + S – Save document
  • Cmd/Ctrl + A – Select all
  • Cmd/Ctrl + D – Deselect
  • Cmd/Ctrl + I – Invert colors
  • Cmd/Ctrl + Shift + I – Invert selection
  • Cmd/Ctrl + click on layer’s thumbnail – Selection based on Layer’s content
  • Cmd/Ctrl + Option/Alt + A – Select All Layers
  • Option/Alt + click between two layers – Clipping Mask
  • Cmd/Ctrl + G – Group Layers
  • Cmd/Ctrl + Shift + G – Ungroup Layers
এছাড়া যদি আরও কী-বোর্ড কমান্ড শিখতে চান তাহলে নিচের চিত্রটি দেখে অনুশীলন করুন। চিত্রটিতে ্ফটোশপের প্রায় সবগুলো দরকারী কমান্ড রয়েছে।

এই ইমেজটির ঝকঝকে প্রিন্ট চাইলে ফলো করুন  এই লিংক

৪) পিক্সেল লেয়ারকে Rotate করতে ব্যবহার করুন স্মার্ট অবজেক্ট

ফটোশপে যারা কাজ করেন তারা পিক্সেলও রেজুলেশান এর সাথে খুবই পরিচিত। বিভিন্ন কারনে ইমেজকে যদি ঘুরানোর প্রয়োজন হয় আমরা তা করে থাকি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইমেজকে ঘুরাতে গিয়ে আমাদের ইমেজকে তার মুল কোয়ালিটি হারিয়ে ফেলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ক্ষতিটি হয় আমরা যখন ইমেজকে ছোট/বড় করি। এর মুল কারন হলো পিক্সেল ভিত্তিক ইমেজগুলো সবসময় রেজুলেশান নির্ভর। রেজুলেশান, সাইজ এর হেরফের হলেই ইমেজ ফাটবে।
ফটোশপ সিএস ২ ভার্সন থেকেই স্মার্ট অবজেক্ট ফিচারটি ফটোশপে যুক্ত হয়েছে। বিষয়টি এরকম যখন কোন ইমেজকে স্মার্ট অবজেক্টে কনভার্ট করবেন তখন ইমেজটি আর পিক্সেল নির্ভর থাকেনা। ফটোশপ এটিকে একটি ইউনিক ইমেজ হিসেবে নিয়ে নেয়।তাই যতই সাইজ নিয়ে টানাটানা করেননা কেন, Rotate যতই করুন না কেন, ইমেজের কোয়ালিটির পরিবর্তন হয়না। তাই বড় ধরনের এডিট করতে গেলে েইমেজকে ‍স্মার্ট অবজেক্টে কনভার্ট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছবিটি দেখুন-

৫) এডজাস্টমেন্ট লেয়ার ব্যবহার না করাঃ

উপরে একটি উদাহরনে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোন ইমেজেই যদি আপনি Image menu থেকে Adjustment কমান্ড প্রয়োগ করেন তাহলে ইমেজটি স্থায়ীভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়। এটি একটি মারাত্মত ধরনের ভূল। এটি না করে New image adjustment layer এর মাধ্যমে আমরা ইমেজ এডজাস্ট করতে পারি।এতে এডজাস্টমেন্ট এর নতুন একটি লেয়ার তৈরি হয় যেটিতে থাকে আপনার পূর্ন নিয়ন্ত্রন।
যে কোন সময় চাইলেই আপনি এ ধরনের এডজাস্টমেন্ট এডিট করতে পারেন।তবে একটি কথা স্মরন রাখতে হবে এডজাস্টমেন্ট লেয়ার সবসময় তার নীচে যে লেয়ারগুলো থাকে তাদের সবগুলোকে এডজাস্ট করে থাকে।দেখুন ছবিটি-

৬) লেয়ারগুলো সঠিকভাবে সাজানো খুবই জরুরীঃ

একজন ডিজাইনার হিসেবে সবসময় আপনাকে সাজানো ঘুচানো হতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। ফটোশপে যারা কাজ করেন তারা অনেকেই জানেন কখনও কখনও একটি প্রজেক্ট ফাইলে শত শত লেয়ার তৈরি করতে হয়। আর এ লেয়ারগুলোকে যদি বিষয়বস্তু অনুসারে সঠিকভাবে সাজানো না হয় তাহলে আপনার ডিজাইনের লেয়ারগুলো খুজে নিতে অনেক সময় ব্যয় হবে।
পাশাপাশি যার জন্য প্রজেক্টটি করেছেন তারও অনেক সময় নষ্ট হবে। তাই ডিজাইনটির বিষয়বস্তু অনুসারে লেয়ারগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। ডিজাইনারদের জন্য এটি অবশ্য পালনীয় একটি বিষয়। তাই এড়িয়ে যাবেননা। নিচের চিত্রটি দেখুন-

৭) ফিল্টার সমূহের যাচ্ছেতাই ব্যবহার ডিজাইনকে শেষ করে দেয়ঃ

ফটোশপে অনেক ফিল্টার রয়েছে যা দিয়ে ডিজাইনকে চোখ ধাঁধানো করা যায়। কিন্তু ফিল্টারের সেটিংস যদি ঠিকমত বসাতে আপনি ব্যর্থ হন তবে আপনার করা ডিজাইনটি হয়ে যাবে কুৎসিত প্রকৃতির খারাপ মানের ডিজাইন। তাই এ বিষয়টি অত্যন্ত নিপুনতার সাথে করবেন। অবশ্যই স্মার্ট ফিল্টার হিসেবে ফিল্টারকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কারন স্মার্ট ফিল্টার হিসেবে ফিল্টারকে ব্যবহার করলে সেটিংসগুলো এডিট করার সুযোগ থাকে সবসময়।আবার আপনি একটি স্মার্ট অবজেক্টে একাধিক ফিল্টারও ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসেই। বিষয়গুলো জেনে শুধু অভ্যাসটা করুন। চিত্রটি দেখুন-

৮) ফটোশপ ক্যানভাসকে নেভিগেট করার দ্রুততম উপায়গুলো জেনে নিনঃ

ফটোশপের একই ক্যানভাসে আমাদেরকে অনেকসময় একাধিক ইমেজ নিয়ে কাজ করতে হয় অথবা অনেক বড় ক্যানভাস নিয়ে কাজ করা লাগে। সেক্ষেত্রে পুরো ইমেজটি আমরা মনিটরের পর্দায় দেখতে পাইনা। তাই আমাদেরকে নেভিগেশান করার কাজটি করা লাগে। অধিকাংশ ফটোশপ ব্যবহারকারীগন ডানে ও নীচের স্ক্রলবার টেনে এই কাজটি করেন। কেন? দ্রুতগতিতে কাজটি করার জন্য কী-বোর্ড এর ব্যবহার শিখে নিন।নিচের কমান্ডগুলো দেখুন-
  • Space – Hand tool
  • Z + drag right and left – Zoom in and out
  • Hold down H + click – Bird’s eye view
  • Cmd/Control + 0 – Fit to Screen
  • Cmd/Control + 1 – Actual Size
নিচের চিত্রটি দেখুন-

৯) এডবি ব্রিজের ব্যবহার করা শিখতে হবেঃ

ফটোশপের কাজটাই তো ইমেজ নিয়ে। আর ইমেজগুলোকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে না রাখলে কাজ করার সময় মাথা নষ্ট পুরাই। তবে ফটোশপের সহযোগী হিসেবে সিএস২ ভার্সন থেকে চালু হয়েছে ইমেজ অর্গানাইজ করে রাখার সাপোর্ট  প্রোগ্রাম এডবি ব্রীজ Adobe Bridge। নামকরা ডিজাইনারগন এমনকি স্বনামধন্য ফটোগ্রাফারগন তাদের ইমেজ সুন্দরভাবে সাজাতে ও দরকারী ইমেজ সহজে খুজে পেতে Adobe bridge ব্যবহার করে থাকেন। তবে আমরা অনেকেই হয়ত এটি ব্যবহারে মনোযোগী নই। এডবি ব্রীজে মনোযোগী হন। ইমেজ ঘুচিয়ে রাখার সব দুঃশ্চিন্তা নিমিষেই উধাও। ১০০%  গ্যারান্টি দিলাম।নিচের ছবিটি দেখুন-

১০) পিএসডি ফাইল সংরক্ষন করে রাখুনঃ

আমরা সবাই জানি পিএসডি ফরমেট হলো ফটোশপের নেটিভ ফাইল ফরমেট। ধরুন আপনি কোন ক্লায়েন্টে একটি প্রজেক্ট করছেন। এপ্রুভ হলো। আপনি ক্লায়েন্টকে চাহদা অনুযায়ী আউটপুট দিলেন। মনে রাখবেন ক্লায়েন্ট কখনোই ফাইলটি সংরক্ষন করবেনা। কিন্তু ১৫ দিন পর ঐ ক্লায়েন্ট পুনরায় ঐ কাজটি সামান্য একটু মোডিফাই করে আবার করতে দিল। যদি আপনি ফাইলটি পিএসডিতে সেভ করে সংরক্ষন না করেন তাহলে কি করবেন। ভেবে দেখুন। কি ভাবলেন? পিএসডি ফাইল রাখতেই হবে। এতে ভুল করা যাবেনা।


হারিয়ে যেতে বসা কিছু প্রযুক্তি



প্রযুক্তির বিকাশের গতি এতটাই বেড়ে গেছে যে, এখন একটা সামগ্রী কিনে আনতে না আনতেই শোনা যায় সেটাও নাকি পুরোনো ধাঁচের। কেউ একজন আমাকে অনেকদিন আগে বলেছিলেন, প্রযুক্তি নাকি বরফের  গোলার মত। বরফের  গোলা যেমন নিজের গায়ে আরো আরো বরফ  নিতে নিতে বিশালাকার ধারন করে তেমনি প্রযুক্তিও অতীত এবং বর্তমানের সংমিশ্রনে যে গতি প্রাপ্ত হয়েছে, তাতে আমার মাঝে মাঝে ভয় হয় আসলে এর শেষ কোথায়। শেষ যেখানেই হোক না কেন, পৃযুক্তির গতির সাথে তাল মেলাতে মেলাতে আমরা অনেক প্রযুক্তির কথা ভূলতে বসেছি। আজ তেমনি হারিয়ে যেতে বসা কিছু প্রযুক্তিগুলো আপনাদের আরেকবার মনে করিয়ে দেব। আসুন তাহলে কথা না বলে শুরু করা যাক

সুপার ৮মিঃমিঃ হ্যান্ডি ক্যাম

kodak_camera_instamatic_m22_face
আজকাল হাতে হাতে হ্যান্ডি ক্যাম আর ডিজিটাল ক্যাম থাকলেও কয়েক দশক আগেও ছিল তা দুঃসাধ্য ব্যাপার। সেই ১৯৬৫ সালে কোডাকই প্রথম কোম্পানী যা মার্কেটে নিয়ে বিখ্যাত ৮মিমি হ্যান্ডি ক্যাম। সাথে সাথে সয়লাব হয়ে যায় মানুষের ঘরে ঘরে। পার্টিতে নিয়ে আসে আলাদা মাত্রা। তবে এই ক্যাম এখন শো কেস  এ ই বেশী শোভা পায়

বেটামেক্স

betamex
আপনারা নিশ্চই ভিসিআর ডিভাইসের ভিএইচএস ক্যাসেট এর সাথে সবাই পরিচিত। বেটামেক্স হচ্ছে সেই VHS এর ঠিক আগের প্রযুক্তি। ১৯৭৫ সালে সনি মার্কেটে এই বেটামেক্স এনে রীতিমত সাড়া ফেলে দেয়।

VHS

vhs2
সনির বেটামেক্সের পরের প্রযুক্তি হলেও এটি মার্কেটে আনে JVC এবং সে যে কি পরিমান মার্কেটে দাপটের সাথে রাজত্ব করেছে তা আমরা ভালোই জানি এবং এর বিলুপ্তিও আমরা নিজের চোখেই অবলোকন করেছি।

লেজার ডিস্ক প্লেয়ার

laser disk
আজকের ডিজিটাল ভার্সেটাইল ডিস্ক (DVD) মার্কেটে আসার আগে এই লেজার ডিস্কই ছিল উচ্চবিত্ত পরিবারের বিনোদনের খোরাক। তবে  DVD মার্কেটে আসার পরে এর করুনাবসান L হয়।

ফোনোগ্রাফ

gramophone
নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মনে হয় প্রয়োজন নাই। অনেকে গ্রামোফোন নামেও চেনেন। ১৮৭৭ সালে টমাস এডিসনের জুগান্তকারী এই আবিস্কারের মোহ থেকে শত বছরেও মানুষের মুখ ফেরাতে পারি নাই অন্য কোন ডিভাইস। এখনও শৌখিনেরা ড্রয়িং রুমে গ্রামোফোন শুনে নষ্টালজিক হয় L

TURNTABLES

turntables
আমাদের দেশে সরাসরি এই জিনিসের ব্যবহার ছিল বলে আমার জানা নেই। তবে এই জিনিসই এখন আমাদের দেশের DJ পার্টি এবং রেকর্ডিং স্টুডিওতে ব্যবহার করা হয়।

HM Radio

HM radio
বিংশ শতাব্দীতে এই কালচার স্টার্ট হলেও জরিপে দেখা যায় এখনও ৬ মিলিয়ন লোক এই প্রযুক্তির সাথে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষো ভাবে সংযুক্ত। এই প্রযুক্তির সাহায্যে রেডিও অপারেটররা শর্টওয়েভ রেডিও কমিউনিকেশানে কানেক্টেড থাকে। এ পর্যন্ত হলিউডের বিভিন্ন বিগ বাজেটে র মুভিতেও মাঝে মাঝে এই ডিভাইস ফিচারড হয়েছে।

REEL TO REEL

Reel-to-reel_recorder_tc-630
ক্যাসেট থেকে ক্যাসেটে গান রেকর্ড করার জন্যে সর্বপ্রথম এই জন্ত্রটিই মার্কেটে সাড়া জাগায়। জদিও এখন কোথাও ব্যবহৃত হয়না। তবে বছর খানেক আগে আমার এলাকায় একটি রেকর্ডিং সেন্টারে এই জিনিসের কাজ কাম দেখার সুজোগ হয়েছিল

ট্রান্সিসটর রেডিও

transistor
এখনও গ্রামে আমাদের অনেক ময় – মুরুব্বী আছেন যারা রেডিওকে ট্রান্সিসটর নামেই ডাকেন। অনেকেই হয়ত অবাক হয় রেডিও কেন ট্রান্সিসটর বলা হয়? এটা হয়েছে মূলত তারা যে রেডিওতে বিনোদনের সকল খোরাক পেয়ে থাকতেন সেটিই ছিল তখনকার মূল্যবান ট্রান্সিসটার রেডিও।

ক্যাসেট টেপ

black_cassette_tape
একটু আগে যে রিল টু রিল যন্ত্রটি দেখিয়েছিলাম, সেটিতে মূলত এই ধরনের ক্যাসেটই রেকর্ড করা হত। আর এর ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই। এমন কোন টিউনার হয়ত খুজে পাওয়া যাবে না যে কি না এই টেপ একবার ভেঙ্গে এর নাড়ী নক্ষত্র পরীক্ষা করে নাই।

বুম বক্স

boombox2
ক্যাসেট টেপ বাজানোর যে যন্ত্র, যেটা আমাদের কাছে ক্যাসেট প্লেয়ার নামে পরিচিত তা মূলত বুম বক্স নামেই মার্কেটে লিলিজ হয় ১৯৭০ সনে। শুরুর দিকে খুবই ভারী ভারী হত এগুলো। তবে মজার কথা হচ্ছে সাইজ আর ওজন কমতে কমতে এখন মার্কেট থেকেই ভ্যানিশ হয়ে গেছে এই জিনিস।

টেলিগ্রাফ

telegraph
আজকের টেলেক্স অথবা ফ্যাক্স ম্যাশিনের পথিকৃতই ছিল এই টেলিগ্রাফ যন্ত্র। মিলিটারি, শিপিং অপারেটর এবং সাধারন মানুষের দ্রত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সেই আমলে এটাই ছিল অন্ধের যষ্টি। তবে আজকাল এর দেখা মেলাই ভার।



                                                                          - সমাপ্ত -



এই সেই ৪০ জন ব্যক্তি – যাদের কারণে আজকের এই সমৃদ্ধ ওয়েব ও ইন্টারনেট




ন্টারনেট বিশ্ব কে শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ করেছে । আমরা এখন পত্রিকার বদলে অনলাইনে নিউজ পড়ি । আমাদের মধ্যে অধিকাংশই এখন কাগজ কলমের বদলে ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে । আমরা অনলাইন এ চলচিত্র দেখি, যা বর্তমানে এক ব্যাপক ব্যবসা উদ্যোগে পরিণত হয়েছে । আমরা এখন ইন্টারনেট এর সাহায্যেই কেনাকাটা বা বিল পরিশোধ করতে পারি । ওয়েব বন্ধুত্বকেও বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া তে পরিণত করেছে । এর ফলে আমরা আমাদের শৈশবের বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ পাই । এটি একটি জীবন পরিবর্তনকারী ঘটনা হতে পারে ।

একটি মহান ধারণা থাকা একটি বিষয় । আর সেই মহান ধারণাকে পরিবর্তন আর নিবর্তন এর মাধ্যমে বস্তবে রূপান্তরিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । এখানে, এই বিশিষ্ট মানুষেরা যাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবে ওয়েব পরিচালিত হয়েছেঃ অতীতে, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে । তারা ইন্টারনেট কে পরিবর্তন করেছে এবং আমাদের জীবন ধারার পরিবর্তন করে বর্তমান অবস্থায় এনেছে । ইন্টারনেট ছাড়া বিশ্বকে এক মুহূর্তের জন্য কল্পনা করুন । আপনি পারবেন না, কারন এটি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রূপান্তরিত হয়ে গেছে ।


Vint Cerf And Bob Kahn

Father of the Internet.
ইন্টারনেট এর জনক Vint Cerf, Bob Kahn এর সাথে একত্রিত হয়ে কমিউনিকেশন প্রটোকল এর সুইট TCP/IP তৈরি করেছেন । এটি এমন একটি ভাষা যা প্রতিটি কম্পিউটার অন্য একটি কম্পিউটার এর সাথে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে কথা বলতে ব্যবহার করে । Vint Cerf একবার বলেছিলেন, ইন্টারনেট জনসংখ্যার প্রতিবিম্ব এবং স্প্যাম হচ্ছে বিনা মুল্যে সেবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ।


Tim Berners-Lee

Inventor of WWW.
Tim Berners-Lee ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিষ্কার করেছেন । তিনিই প্রথম ওয়েব ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার লিখেন এবং লিঙ্ক, হাইপার টেক্সট, অনলাইন ইনফো ডিজাইন করেন । উনি এখন ওয়েব এর মান বজায় রাখার কাজ করছেন এবং World Wide Web Consortium (W3C) এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এর ডিজাইন পরিমার্জন করে যাচ্ছেন ।


Ray Tomlinson

Father of Email.
প্রোগ্রামার Ray Tomlinson ইমেইল এর প্রতিষ্ঠাতা । তিনি মেশিন এর মাধ্যমে মেসেজ আদান প্রদান সম্ভব করেন । তিনিই ইমেইল এড্রেস এর জন্য '@' সাইন টি ব্যবহার শুরু করেন । আজ, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষ প্রতিদিন '@' সাইন টি ব্যবহার করেন ।


Michael Hart

The birth of eBooks
Michael Hart ইবুক এর জন্ম দেন । তিনি Gutenberg নামের একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেন, যেটি বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রনিক লাইব্রেরী হিসেবে বিবেচিত হয় এবং পড়াশোনার উপায় বদলে দেয় । এই সংগ্রহে পাবলিক ডোমেইন ওয়ার্ক এবং কপিরাইটেড ওয়ার্ক অন্তর্ভুক্ত হয় ।


Gary Thuerk

The first Email spam.
স্প্যামিং একটি পুরনো বিপণন কৌশল । Gary Thuerk প্রথম এরপানেট এর ক্রেতাদের কাছে Digital’s new T-series of VAX systems এর Mass email পাঠায় । যা সেই সময়ে তিনি উপলদ্ধি করতে পারেননি যে তিনি পৃথিবীর প্রথম স্প্যাম মেইল পাঠাচ্ছেন ।


Scott Fahlman

The first emoticon.
Scott Fahlman প্রথম ASCII ভিত্তিক ইমোটিকন (স্মাইলি) উদ্ভব করেন । যা তিনি ভেবেছিলেন পোস্ট এর মাঝে লেখক এর আবেগ প্রকাশে সহায়ক হবে । এখন সবাই মেসেঞ্জার, ফেসবুক, চ্যাট এবং ইমেইল এ ব্যাপক ভাবে ইমোটিকন ব্যবহার করে ।


Marc Andreessen

Netscape Navigator. (wikipedia)
Marc Andreessen ইন্টারনেট এর ধারা কে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করেছেন । তিনিই প্রথম Mosaic নামক ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন, যা পরবর্তী তে Netscape Navigator হিসেবে পরিচয় পায় । Marc Andreessen, Ning এর ও একজন কো-ফাউন্ডার এবং Digg, Plazes ও Twitter এর বিনিয়োগকারী ।


Jarkko Oikarinen

Internet Relay Chat, IRC. (wikipedia)
Jarkko Oikarinen প্রথম সরাসরি চ্যাট আবিষ্কার করেন । যেটার নাম ছিলো Internet Relay Chat বা IRC । ১৯৯১ সালে IRC জনপ্রিয়তা পায়, যখন ইরাক কুয়েত কে আক্রমন করে এবং সকল টেলিভিশন, রেডিও বন্ধ ছিল । তখন IRC এর সাহায্যে সর্বশেষ তথ্য বিতরণ সম্ভব হয়েছিল ।


Robert Tappan Morris

First Worm Virus.
প্রচলিত হ্যাকিং এ worm virus অনন্য অতুলনীয় । Worm এমন একটি ভাইরাস যার মাধ্যমে কারো কম্পিউটার এ না ধরেই ছোট একটি প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে কাজ সেরে ফেলা যায় । Robert ৮০ দশকের শেষের দিকে প্রথম worm virus কোড করেন, যা হাজার ডলার এর ক্ষতি করতে সক্ষম হয় ।


David Bohnett

Geocities. (wikipedia)
১৯৯৪ সালে তিনি John Rezner এর সাথে মিলে Geocities তৈরি করেন । এটি ইন্টারনেট এর সবচেয়ে বড় কমিউনিটি তে পরিণত হয় । ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর কোম্পানি টি বন্ধ করে দেয়া হয় ।


Ward Cunningham

The first Wiki.
এমেরিকান প্রোগ্রামার Ward Cunningham মানুষকে একসাথে অনলাইন পেজ বানানোর এবং এডিটের সুবিধা দিয়ে প্রথম 'Wiki' তৈরি করেন ।


Sabeer Bhatia

Hotmail. (wikipedia)
তিনি হটমেইল প্রতিষ্ঠা করেন এবং মাইক্রোসফট এর কাছে ৪০০$ এ বিক্রি করেন । ১৯৯৮ সালে তিনি “Entrepreneur of the Year” এওয়ার্ড পান ।


Matt Drudge

The Drudge Report. (wikipedia)
Matt Drudge, The Drudge Report নামে নিউজ এগ্রিগেশন প্রতিষ্ঠা করেন ।Monica Lewinsky scandal প্রকাশের পর এটি জনপ্রিয়তা পায় ।


Larry Page And Sergey Brin

Google. (wikipedia)
এরা দুজন ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করেন, সার্চ ব্যবহারের পরিবর্তন করেন । তারা দুজনে মিলে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল প্রতিষ্ঠা করেন । গুগল বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ওয়েবসাইট এবং সার্চ ইঞ্জিন । সার্চ ইঞ্জিন ছারাও বর্তমানে তাদের আরো অনেক সার্ভিস অত্যন্ত জনপ্রিয় ।


Bill Gates

Microsoft. (wikipedia)
Bill Gates 'Micro-Soft' নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন । যেটি microcomputer এবং software এর সমন্বয়ে ছিলো । পড়ে তিনি নতুন একটি GUI (Graphical User Interface) তৈরি করেন । যার নামকরণ হয় Windows. তিনিই অন্তত উন্নত দেশগুলোর প্রতিটি ঘরে একটি করে কম্পিউটার থাকার মিসন শুরু করেন ।


Steve Jobs

Apple. (wikipedia)
Apple এর প্রতিষ্ঠাতা, জিনি ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার এর অভিজ্ঞতা বদলে দেন ।


David Filo And Jerry Yang

Yahoo. (wikipedia)
এরা দুজন মিলে জনপ্রিয় কোম্পানি Yahoo! শুরু করেন । Yahoo এর সম্পূর্ণ রূপ "Yet Another Hierarchical Officious Oracle" এই কোম্পানি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনলাইন অভিজ্ঞতায় অনেক পরিবর্তন আনে ।


Brad Fitzpatrick

LiveJournal. (wikipedia)
তিনি LiveJournal তৈরি করেন । বিশ্বের প্রথম ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম । এর সদস্যরা তাদের জীবনে বিভিন্ন গঠনা এর মাধ্যমে শেয়ার করে ।


Shawn Fanning

Napster. (wikipedia)
তিনি নেপ্সটার প্রতিষ্ঠা করেন । যার সাহায্যে peer to peer ফাইল শেয়ার করা যেত । সঙ্গিত প্রেমীরা তাদের প্রিয় সব গান এটার সাহায্যে ডাউনলোড এবং আপলোড করতে পারতো । ২০০১ সালে এর প্রায় ২৫ মিলিয়ন ব্যবহার কারি ছিল । পড়ে বিভিন্ন আইন এর কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায় ।


Peter Thiel

Paypal. (wikipedia)
তিনি Paypal এর প্রতিষ্ঠাতা । পেপাল এর সাহায্যে মানুষ সহজে অনলাইন এ একে অন্যের সাথে অর্থ লেনদেন করতে পারে । উনি ৩১ বছর বয়সে পেপাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৪ বছর পর eBay এর কাছে তা ১.৪ বিলিয়ন ডলার এ বিক্রি করেন ।


Pierre Morad Omidyar

Ebay. (wikipedia)
তিনি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস তৈরি করেন যা ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে একসাথে নিয়ে আসে । এমনটি আগে কখনো হয়নি । eBay এই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস । তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে মানুষ সব কিছুই কিনবে । কারো ময়লা অন্যের জন্য গুপ্তধন ।


Jimmy Wales

Wikipedia. (wikipedia)
তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম জ্ঞানকোষ Wikipedia তৈরি করেন । যার মধ্যে বিশ্বের প্রায় সকল বিষয় নিয়ে তথ্য আছে । এবং এগুলো সবাই এডিট করতে পারে । এটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এবং বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন জ্ঞানকোষ ।


Stewart Butterfield And Caterina Fake.

Flickr. (wikipedia)
Stewart Butterfield ও তার স্ত্রী Caterina Fake মিলে একটি ফটো শেয়ারিং সাইট তৈরি করেন । যার নামকরণ হয় Flickr. ইয়াহু ২০০৫ সালে Flickr কিনে নেয় ।


Jonathan Abrams

Friendster. (wikipedia)
Jonathan Abrams একসাথে Cris Emmanuel এর সাথে মিলে Friendster প্রতিষ্ঠা করেন । যেটির মাধ্যমে মানুষ তার পছন্দের মানুষ খুজে পায় ।


Niklas Zennstrom

Skype. (wikipedia)
Niklas Zennstrom জনপ্রিয় স্কাইপ এর কো-ফাউন্ডার । এটি বিশ্ব ব্যাপি কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার এ ফ্রী কল উপভোগ করতে দেয় ।


Bram Cohen

Bit Torrent. (wikipedia)
যদি নেপ্সটার ফাইল শেয়ারিং এর প্রথম প্রন্ম শুরু করে, তাহলে Bram Cohen ফাইল শেয়ারিং এর অভজ্ঞতা পরিবর্তন করেছেন । তিনি BitTorrent আবিষ্কার করেন, যা প্রায় সাথে সাথেই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় । এটিতে যত দ্রুত আপলোড করা যাবে ততই দ্রুত ডাউনলোড করা যাবে । BitTorrent একটি ফাইল খুব খুদ্র খুদ্র অনেক গুলো অংশে ভাগ করে ফেলে । কোন ইউজার যখন এর একটি অংশ ডাউনলোড করে ফেলে, তখন থেকেই সে সেই অংশ টি অন্যদের কাছে আপলোড করতে থাকে । এর দ্বারা যারা যতটুকু ডাউনলোড করে ততটুকুই অন্যের কাছে আপলোড করে ।


Reid Hoffman

LinkedIn(wikipedia)
উনি পেপাল এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট । উনি LenkedIn তৈরি করেন, যেন ইউজার রা তাদের পরিচিত মানুষদের কন্টাক্ট ও বিজনেস মানুষদের কন্টাক্ট ইত্যাদি অনলাইন এ গুছিয়ে রাখতে পারে।


Matt Mullenweg

WordPress. (wikipedia)
বিশ্বের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ব্লগিং সফটওয়্যার ওয়ার্ডপ্রেস তৈরি করেন Matt Mullenweg । বিশ্বের জনপ্রিয় সব ওয়েবসাইট যেমন মেশেবল, ইসমেশিং মেগাজিন, টেকক্রাঞ্চ ওয়ার্ডপ্রেস এ তৈরি করা।


Chad Hurley, Steve Chen, And Jawed Karim

Youtube. (wikipedia)
ইন্টারনেট এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব এরা তিনজন মিলে তৈরি করেন । প্রায় দের বছর পর গুগল ১. ৬৫ বিলিয়ন মুল্যে ইউটিউব কিনে নেয় ।


Craig Newmark

Craigslist. (wikipedia)
ক্লাসিফাইড এড দেয়ার জন্য এক অনন্য সাইট Craiglist যা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় । Craig Newmark এর প্রতিষ্ঠাতা।


Julian Assange

WikiLeaks. (wikipedia)
Julian এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন, যেখানে বিভিন্ন চুরি করা ডকুমেন্ট প্রকাশ করা হয় । এটি খুব চমৎকার ভাবে প্রোগ্রাম করা, যাতে ডকুমেন্ট প্রকাশ কারির কোন তথ্য কেও খুজে বের করতে পারে না।


Dick Costolo

FeedBurner. (wikipedia)
ফিডবারনার এর প্রতিষ্ঠাতা । এটি একটি ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট গুলোর একটি আপডেট তৈরি করে, যা ইউজার দের ব্যবহারে সুবিধা প্রদান করে ।


Mark Zuckerberg

Facebook. (wikipedia)
Mark Zuckerberg ফেসবুক আবিষ্কার করেন ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের যোগাযোগ রক্ষার জন্য। স্ট্যাটাস আপডেট, ফটো আপলোড, ভিডিও আপলোড, গ্রুপ, পেজ ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের সব কথা শেয়ার করতে পারে ফেসবুক এ । বর্তমানে বিশ্ব ব্যাপি প্রায় ৫০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে।


Jack Dorsey

Twitter. (wikipedia)
Jack Dorsey টুইটার এর প্রতিষ্ঠাতা। টুইটার এর সাহায্যে ১৪০ শব্দের ভিতরে মানুষ তাদের চিন্তাধারা শেয়ার করে । এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া যোগাযোগ মাধ্যম।


বোনাসঃ আরো চারজন সেরা প্রযুক্তির অবদানকারী

Christopher Poole

4chan message board. (wikipedia)
অনলাইন এ 'Moot' নামে পরিচিত । তিনি একটি মেসেজ বোর্ড তৈরি করেন যার নাম '4chan' । এটির কোন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম নেই, তাই কোন ইউজার তার পরিচয় না দিয়েই পোস্ট করতে পারবে । 'Moot' একাধিক পরিচয় এবং গোপনীয়তায় বিশ্বাস করেন ।


Joshua Schachter

Delicious. (wikipedia)
Del.icio.us এর প্রতিষ্ঠাতা । ইউজার রা যাতে তাদের পছন্দের ওয়েবসাইট গুলো অন্যের সাথে শেয়ার করতে এবং নিজের জন্য সেভ করে রাখতে পারবেন । এটি এখন ইয়াহু কিনে নিয়েছে ।


Jeff Bezos

Amazon. (wikipedia)
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন স্টোর Amazon এর প্রতিষ্ঠাতা, যার মুল নাম ছিল Cadabra Inc । তিনি অনলাইন শপিং অনেক দ্রুত এবং মজাদার করে তোলেন।


Dennis Ritchie

C Programming Language (wikipedia)
তাঁর পুরোনাম Dennis MacAlistair Ritchie একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি ডিজিটাল যুগকে আরও আমাদের নিকটে নিয়ে আসেন। তিনি কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং ভাষা সি (C Programming) আবিষ্কার করেন এবং তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী  Ken Thompson এর সাথে the Unix operating system তৈরি করেন।


সি প্রোগ্রামিং হচ্ছে উচ্চতর বা আধুনিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ভাষা এবং সি প্রোগ্রামিং কে বলা হয় সকল উচ্চতর প্রোগ্রামিং এর Mother.  C Programming Language পরবর্তিতে C++ Programming Language এ আর আগ্রেড করা হয়। C#, D, Go, Rust, Java, JavaScript, Limbo, LPC, Objective-C, Perl, PHP, Python, Verilog ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষা সরাসরি সি থেকে উৎপত্তি হয়েছে। অর্থাৎ এখন যত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ তৈরি হয় তার প্রায় সবই সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উপর ভিত্তি করে হয়।



                                                                           - সমাপ্ত -